শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
স্বরুপকাঠী প্রতিনিধিঃ নেছারাবাদ স্বরুপকাঠীর বলদিয়া ঘটনায় আহত বিপ্লব জানায়, ঘটনার সময় আমি বাবার দোকানে বসা ছিলাম। সোহাগদল ইউনিয়নের এন ডব্লিউ এলাকার কামালের ছেলে লিয়ন আমার দোকানের সামনে বসে গাজা সেবন করতেছিল এবং এবটি ৫ বছরের বাচ্চাকে গাজা টানার জন্য জোর পূর্বক হাতে দেয়। বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি বাচ্চাটিকে গাজা খাওয়াতে নিষেধ করায় লিয়ণ আমাকে গালমন্দ করিয়া চলিয়া যায়।
কিছুক্ষন পরে ২০-২২জন লোক নিয়ে আমার দোকানের সামনে আসিয়া আমাকে এলোপাথারি মারধর করে। স্থানীয় শাহিনের ছেলে শরিফ আমাকে ধরে রাখে এবং নিয়নের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করিলে আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরিয়া যাই। লোকজন আসিলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আহত বিপ্লবের বাবা সামসুল হক বলেন, আমার ছেলে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় ২০-২২জন সন্ত্রাসী বাহিনা আসিয়া আমার ছেলেকে খুন করতে চেয়েছিল, কোনমতে আমার ছেলে প্রানে রক্ষা পায়। আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানাইলে মেম্বর ফারুকের উপর দ্বায়ীত্ব দেন এবং সালিশ বৈঠনের নামে সালিশগন মাদক সেবীদের পক্ষ নিয়ে বিচারের চেষ্টা করে। আমি সালিশিতে ন্যায় বিচার পাইনি তাই আইনের আশ্রয় নিব।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক বলেন, সামসুলহকের ছেলেকে মারধরের বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপ্লবকে চিকিৎসার জন্য স্বরূপকাঠী সরকারি হাসপাতালে পাঠাই। আমি তথ্য নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ১১জন ছেলের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়।
যার মধ্যে এন ডব্লিউ হাই স্কুলের ছাত্র ৯জন বাকী দুইজন লেখাপড়া করে না। বলদিয়া ইউনিয়ন আওলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল, সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিক, সহিদ মেম্বর, নেতা জাকির হোসেন সালিশ করেন এবং আমিও উপস্থিত ছিলাম। তবে সালিশ বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি।
Leave a Reply